ইসবগুলের ভুসি খেলে কি হয়
ইসবগুলের দ্রবনীয় ফাইবার রক্তের
কোলেস্ট্ররলে কমাতে সাহায্য করে। এছাড়াও ডায়াবেটিস, ফাইলস রোগীদের জন্য
উপকারী ইসবগুলো। এসিডিটির সমস্যা সমাধানে এবং হজমক্রিয়ার উন্নতিতে ও
সাহায্য করে ইসবগুল। পাকস্থলীর সমস্যা দূর করার জন্য ঘরোয়া প্রতিকার হলো
ইসবগুল।
খালি পেটে ইসবগুলের ভুসি খেলে কি হয়
কোষ্ঠকঠিন্যতায় ভূগলে প্রতিদিন ৫-১০ গ্রাম ইসবগুল নিয়ে ১ কাপ ঠাণ্ডা বা গরম পানিতে আধাঘণ্টা ভিজিয়ে রেখে তাতে ২-৩ চামচ চিনি মিশিয়ে সকালে খালি পেটে ইসবগুলের ভুসি খেলে বা রাতে শোয়ার আগে খেলে উপকার পাওয়া যায়। এতে রয়েছে প্রাকৃতিক উপাদান যা আমাদের পেটের পীড়া, কোষ্ঠকঠিন্যতায় উপকারী। পেট পরিষ্কার করার জন্য ওষুধের চেয়ে ইসুবগুল অনেক উপকারী। ইসবগুল প্রাকিতিকভাবে আমাদের সুস্থ রাখে। খালি পেটে ইসবগুলের ভুসি খেলে ভরা পেটে ইসবগুলের ভুসি খেলে যে উপকার হত তার চেয়ে বেশী উপকার হয়।
যাদের ইউরিনে জ্বালাপোড়া আছে তারা
সকালে খালি পেটে ইসবগুলের ভুসি খেলে প্রস্রাবের জ্বালাপোড়া কমবে এবং
ইউরিনের রং স্বাভাবিক হয়ে যাবে। এছাড়া প্রতিরাতে ইসবগুল খেয়ে ঘুমালে আমাশয়
থেকে রক্ষা পাওয়া যায়। হাতে, পায়ে জ্বালাপোড়া ও মাথা ঘোরানো রোগে আখের
গুড়ের সঙ্গে ইসবগুলের ভুসি মিলিয়ে সকাল-বিকাল এক সপ্তাহ খেলে অনেক উপকার
পাওয়া যাবে।
ওজন কমানোর ক্ষেত্রে সবচেয়ে বড় বাঁধা হচ্ছে ক্ষুধার
বিরুদ্ধে যুদ্ধ করা। ইসবগুল পেট ভরা রাখতে সাহায্য করে। অন্ত্র পরিস্কারেও
সাহায্য করে ইসবগুল।
ইসবগুলের ভুসি খাওয়ার সঠিক সময়
প্রতিদিন
সকালে অথবা খাওয়ার পূর্বে কুসুম গরম পানিতে ইসবগুল ও লেবুর রস মিশিয়ে পান
করলে পেট ভরার অনুভূতি হয় এবং অন্য খাবার খাওয়ার ইচ্ছা কমায়।ইসবগুল যাদের
ডায়াবেটিস আছে তাদের জন্য খুবই ভালো। এটি পাকস্থলীতে যখন জেলির মত একটি
পদার্থে রূপ নেয় তখন তা গ্লুকোজের ভাঙ্গন ও শোষণের গতিকে ধীর করে। যার ফলে
ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রনে থাকে।
অ্যাসিডিটির প্রতিকারে : আমাদের
প্রায় সবারই কিছু না কিছু অ্যাসিডিটির সমস্যা থাকে, আর ইসবগুল হতে পারে এই
অবস্থার ঘরোয়া প্রতিকার। ইসগুল খেলে তা পাকস্থলীর ভেতরের দেয়ালে একটা
প্রতিরক্ষামূলক স্তর তৈরি করে, যা অ্যাসিডিটির বার্ন থেকে পাকস্থলীকে রক্ষা
করে। এছাড়াও এটি সঠিক হজমের জন্য এবং পাকস্থলীর বিভিন্ন এসিড নিঃসরণে
সাহায্য করে। এক্ষেত্রে প্রতিবার খাদ্য গ্রহণের পর ২ চামচ ইসবগুল আধা গ্লাস
ঠান্ডা দুধে মিশিয়ে পান করতে হবে।
কোষ্ঠকাঠিন্য দূরীকরণে :
ইসবগুলে থাকে কিছু অদ্রবণীয় ও দ্রবণীয় খাদ্য আঁশের চমত্কার সংমিশ্রণ যা
কোষ্ঠকাঠিন্য দূরীকরণে ঘরোয়া উপায় হিসেবে খুব ভালো কাজ করে। পাকস্থলীতে
গিয়ে এটি ফুলে ভেতরের সব বর্জ্য পদার্থ বাইরে বের করে দিতে সাহায্য করে।
কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করতে প্রতিদিন ঘুমাতে যাওয়ার আগে ২ চামচ ইসবগুলের ভুসি এক
গ্লাস কুসুম গরম দুধের সঙ্গে মিশিয়ে পান করতে হবে।
ডায়রিয়া প্রতিরোধে :
ইসবগুলের ভুসি ডায়রিয়া প্রতিরোধেও সক্ষম। ডায়রিয়া প্রতিরোধে ইসবগুল দইয়ের
সঙ্গে মিশিয়ে খেলে উপকার পাওয়া যায়। কারণ দইয়ে থাকা প্রোবায়োটিক পাকস্থলীর
ইনফেকশন সারায় এবং ইসবগুল তরল মলকে শক্ত করতে সাহায্য করে বলে খুব কম সময়েই
এটি ডায়রিয়া সারাতে পারে। ডায়রিয়া প্রতিরোধে দিনে দু’বার ভরাপেটে ২ চামচ
ভুসি ৩ চামচ টাটকা দইয়ের সঙ্গে মিশিয়ে খেতে হবে।
হার্টের সুস্থতায় : ইসবগুলের
ভুসিতে থাকা খাদ্যআঁশ কোলেস্টেরলের মাত্রা কমিয়ে আমাদেরকে হূদরোগ থেকে
সুরক্ষিত করে। যে কারণে চিকিত্সকরা সব সময় হূদরোগ প্রতিরোধে এধরনের খাবারের
পরামর্শ দিয়ে থাকেন। এটি পাকস্থলীর দেয়ালে একটা পাতলা স্তর সৃষ্টি করে। যা
খাদ্য হতে কোলেস্টেরল শোষণে বাধা দেয়; বিশেষ করে রক্তের সিরাম
কোলেস্টেরলের মাত্রা কমায়। এছাড়াও এটি রক্তের অতিরিক্ত কোলেস্টেরল সরিয়ে
দেয়, যা থাকলে ধমনীতে ব্লক সৃষ্টির সম্ভাবনা থাকে।
ইসবগুলের ভুসি ছবি
আমাদের ওয়েবসাইটে আপনি আরো পাবেন আদা তাজা এবং শুকনো গুঁড়া, সবুজ শুকনো আমের গুঁড়া , আনারদানা/ বেদানার বীজ, তুলসী, কাঠবাদাম, এলাচ , বড় এলাচ, দারচিনি , ধনে, গরম মসলা , গোলাপ জল, হলুদ , ধনে পাতা , হরিতকি, কাঁচা মরিচ/ কাঁচা লঙ্কা, ধনে গুঁড়া, তেঁতুল , জায়ফল , জয়িত্রি , জিরা , গোটা জিরে, কারিপাতা, নিম পাতা,কাজুবাদাম, বিট নুন, বিট লবণ, কালো এলাচ , গোল মরিচ , কালো জিরা , মেথি পাতা , কাবাব চিনি , জাফরান , খেজুর, পোস্ত, রসুন, শুকনো লঙ্কা / লাল মরিচ লবঙ্গ , মেথি পাতা , মেথি দানা, নুন / লবণ, লেবু , গন্ধরাজ লেবু, কাগ্জি লেবু, শিরিন লেবু, পুদিনা, পেঁয়াজ কলি, পেঁয়াজ পাতা, পাঁচ ফোড়ন, বাংলাদেশী পাঁচটি মসলা একত্রে (মেথি, মৌরি, কালোজিরা, জিরা, সরিষা) পিপুল, কাপ্সিকুম/ক্যাপসিকাম, রাই/ সর্ষে / সরিষা, সাদা সর্ষে / সাদা সরিষা, সরিষা, সরিষার তেল , মৌরি, কালো জিরা, সির্কা , শুকানো আদা গুড়ো , বেশিরভাগ পাউডার, তেজ পাতা , তিল , হিঙ ইত্যাদি সব মসলার পাইকারি দাম ।